ছবি

তোমার অনন্ত ক্যানভাসে
একটা নিঃসঙ্গ আলোকবিন্দু ধূসর দলছুট।

মানচিত্রে কোথাও পাবে না তাকে
অথবা ইজেলে,
বিব্রত তুমি।
মুখপাত্র বলে গেল
এমন কোনো কৃষ্ণবিন্দু কখনও ছিল না
অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সে মুহূর্তে নিঃসঙ্গ একলা তারাটা খসে পড়তেই
তোমার চোয়াল বেঁকে গেল।
আর পোর্ট্রেট জুড়ে শুধু জল শুধু
জলের বিভ্রম।




ঘুম পাড়ানিয়া

হায়নার গল্পে ক্রমশ মানিয়ে নিয়েছি
আর কয়েকটা নেকড়ে…!

প্যাঁক প্যাঁক হাঁস আর
অবিশ্বাস্য মাথামোটা গাধা,
এইসব হাস্যরস গায়ে মেখে যথারীতি স্বপ্ন ও ঘুম।

আজ দেখছি হায়না আর নেকড়েগুলো থাবা চাটছে…
একটানা কোরাস গাইছে হাঁসগুলো
আর মাথামোটা গাধাগুলো ঘুমোচ্ছে!

মা নেই, তাই মানিয়ে নিয়েছি।




শেষ সংলাপ

মরে তো ছিলামই
মাছরাঙা কোন পথে কীভাবে উড়াল দেবে…
এ দৃশ্যে তোমার চোখ তখন প্রস্তাবিত ব্লাইন্ড স্কুল
একটা মড়াকে মুহুর্মুহু উলটে পালটে
যখন রোদ্দুরে সেঁকে নিচ্ছ…
মৃতের আর কী-ই বা করার থাকে বেঁচে ওঠা ছাড়া?

স্বভাবত মৃত নক্ষত্র থেকে আচানক
ছিটকে আসা আলোয় আমি শুধু তারা খসা দেখি,
ব্লাইন্ড স্কুলে তখন ঘাতক ওরফে খুন হয়ে গেছে যারা
সেই অন্ধগীতি দলের সান্ধ্য মহড়া।
তবু মৃতের আর কী-ই বা করার থাকে বেঁচে ওঠা ছাড়া?




মুন্সিজি

পরিচিত বৃত্তে একজন খুনি থাকা ভালো।
অবাক পৃথিবী নিয়ে তেমনটি থাক
স্বভাব লাজুক, ভীতু ও কাঙাল লোকটা।

আমিও নিয়ম মেনে
সপ্তাহে তিনদিন ঈর্ষা শিখি পড়শির কাছে
বাকি দিন মানভঞ্জন যথারীতি নিমাইচরিত।

এইসব হিসেব রাখে মুন্সিজি,
ঘড়িতে অ্যালার্ম, প্রয়োজন মতো
ব্লেড অথবা ছুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া ঠোঁট—
সব মুন্সিজির কারসাজি




বুটের আওয়াজ

সবকিছু স্বাভাবিক, আজ তাই কারফিউ জারি।
সব কিছু স্বাভাবিক, রুট মার্চ তবুও জরুরি।
সব কিছু স্বাভাবিক, বাছা তাই কাঁদেনি ভুলেও
সব কিছু স্বাভাবিক, মৌমাছি বসেনি ফুলেও।

সব কিছু স্বাভাবিক, চুপ রাত, নিঝুম সকাল
অবাক ছুটিতে আজ তোর শুধু ছুট-এর আকাল।

সব কিছু স্বাভাবিক, শব্দ নেই, পাতারাও স্থির,
আমি ভাবি তুমি বোবা অথবা আমিই বধির।
সব কিছু স্বাভাবিক, হাতে আর নেই কোনো কাজ,
‘সব কিছু স্বাভাবিক’ বলে গেল বুটের আওয়াজ।