জলের ভ্রমণ চিহ্ন

১.
প্যারাসুট, দ্রুতগামী নৌযান
এইসব বানানো রূপকথাগুলো পেরিয়ে এলে
তুমি সমুদ্রের সাথে কথা বলতে শিখবে
তখন বালি খুঁড়ে যুবতীরা উঠে আসবে
দূরের জাহাজ থেকে চিঠির আভাস…

বেঢপ লম্বা একটা টুলের ওপর তুমি
বসে থাকবে সারাদিন
সূর্য ডোবার সময় হলে ভাববে
ভাঙা কলসি হাতে যেসব রমণীরা
গিয়েছিল গ্রাম থেকে গ্রামে
তারা সব নদীপথে এখানে মিশেছে।

২.
ক্রমশ মানুষ থেকে মনুষ্যহীনতার দিকে যাও
প্যারাসুট দেখে তবু চিনে রাখো
কোন স্থান পেরিয়ে এসেছো

সমুদ্রকে কী ওষুধ দিয়েছো তুমি!
সে তোমার খালি সিরিঞ্জগুলো ফেরত পাঠিয়েছে তীরে

ডাঙার হাঙরগুলো মুখ থুবড়ে
পড়ে আছে ডাঙার ওপরে

এসব দৃশ্য পেরিয়ে
তুমি যাবে

ঠান্ডা বিয়ার হাতে আমি
সেইসব ওঠা নামা দেখি

৩.
বিমর্ষ ধাতুর পাশে
মেঘ জমে থাকে।
যুবতী বেলুনে হেলান দিয়ে
চলে যায় বাইক

সমুদ্রের দিকে

সহসা অ্যালার্ম বাজে
ঘুমের ভেতর থেকে
পাখির পায়ের ছাপ
উড়ে যায় ফের

৪.
নদীর লতানো পথে জল যায় তোমাদের কাছে
নতুন চাঁদের দিনে বাঘ আসে
জল খায়, ঘুরে দেখে প্রাচীন প্রবাদ
বাগানের নরম মাটিতে তার প্রথম পায়ের ছাপ
একদিন পুজো পাবে
সেই ভেবে আমি তার ছবি তুলে রাখি
ঘোরতর বর্ষার দিন দেরি করে এলে
তোমাকে পাঠাই তার ফেলে যাওয়া
চিঠিপত্র, ছেঁড়াখোঁড়া দিনলিপিখানি

৫.
আমিও নেমে আসছি
ধোঁয়ার অভাব থেকে জলকাদা মাখানো ঘড়িতে
শুনেছি এখানে রোজ বাণী দেওয়া মানুষেরা আসে
যা তোমার ইচ্ছে সেইমতো
শয়তানের ব্যবহৃত কলম ও কালির দোয়াত
লিখে রাখে আদর্শলিপির প্রথম খসড়া
আর কোথায় যেন জল পড়ে যায়
সেই শব্দ আর পায়ের ছাপ বেয়ে
আমিও নেমে আসছি আজ সকাল সকাল