ব্যর্থতার ছবি
পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি ছাপিয়ে ওঠা গেল না
লাফিয়ে ছুঁয়ে দেখা হলো না পরিপক্বতা।
প্রতিবেশীর বারান্দায় ডালিম ফুলের দিকে
চেয়ে চেয়ে বয়স বেড়ে গেল
কেচে তোলা হলো না নিজের মৃতদেহ ।
এভাবেই পুরোনো প্রোফাইলে মরচে ধরে যায়
প্রকৃত ট্যুরিস্ট হওয়া যায় না আর
নোনা ধরা দেওয়ালে শুধুই ব্যর্থতার ছবি
আড়মোড়া ভেঙে উঠে ধরা হলো না
পৌরাণিক চাঁদ।
কথা: ২
আস্তে আস্তে আমরা রাত্রের ভেতর পৌঁছাচ্ছি
সমস্ত ধুলোবালি কথা শেষ—
পায়ে পায়ে ধ্বনিত হচ্ছে
সেইসব কথার বাছাই;
পাথর ভাঙার কথা
জল বইবার কথা।
আমরা ভিজে যাচ্ছি নক্ষত্রের জলে
আর আমাদের মাঝখানে আলোর চুপ।
আরোগ্য স্নান
আরোগ্য স্নান হয়ে ওঠে না—
সাবানের দূরত্ব ওই রোমকূপ পর্যন্ত
আর অ্যান্টাসিড পৌঁছায় পাকস্থলী অবধি
মিউনিসিপ্যালিটির গাড়ি আসে প্রায় প্রতিদিন
এত এত গারবেজ বয়ে নিয়ে যায়
তবুও সফল হয় না পুরোপুরি
ঘুমের বড়িও জানে না
অন্তর্দেশীয় ঠিকানা।
বালির সংগ্রাম
তার আর কোনো জলকথা নেই
বালির সংগ্রামে শুধু সংযম দাগ
সে জানে টব ফাটিয়ে মহিরুহ হওয়া
সম্ভব নয় কোনোদিন
শুধু তর্জনী প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখা…
দূরে বালিয়াড়ি জমির ওপর ছেঁড়া ছেঁড়া জঙ্গল
আর একটু বাঁ-দিকে চেপটে যাওয়া
দেশলাই বাক্স।
ফোর্থ পিলার
ইস্পাত কঠিন রোদ্দুর এসে পড়েছে
শূন্য জানলায়, ভেঙে গেছে স্বচ্ছতা কাচের।
এই পারে শহরের ধ্বংসাবশেষ
ওই পারে সবুজের হতাশ চাহনি
তবু এই রোদের টিআরপি বেড়েই চলেছে
ক্রমাগত….
সোনালি আলোর কালোবাজারি ঘিরে
পাতায় পাতায় চিকন্-কালো ইকড়ি-মিকড়ি
এই হিরোশিমা সভ্যতা নিয়ে কী করব…
শুধু উবু হয়ে সাদা কাগজের বুকে মুখ ঘষি।
ততক্ষণে ডেমোক্রেসির ফোর্থ পিলারের
গল্পরা বেজে যাক—
প্রচ্ছদচিত্র সৌজন্য: www.pinterest.com